অগপ সম্পৰ্কে নরম স্থিতি, মুখ্যমন্ত্ৰী হওয়ার বাসনা নেই আজমলের
কংগ্ৰেস পৰ্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াত বদরুদ্দিন আজমলের প্ৰস্তাব খারিজ করলেন
গুয়াহাটিঃ প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈর সঙ্গে এআইইউডিএফ-এর সভাপতি বদরুদ্দিন আজমলের সাপে-নেউলের সম্পৰ্কের অবনতি ঘটেনি, উন্নতিও হয়নি। তরুণ গগৈর ঐতিহাসিক মন্তব্য ‘হু ইজ বদরুদ্দিন' আজও মানুষের মনে ম্লান হয়নি। এর পরও বদরুদ্দিন আজমল কিন্তু কংগ্ৰেসের সঙ্গে নিৰ্বাচনী সমঝোতা করে ১৯-এএরবলোকসভা নিৰ্বাচনে অবতীৰ্ণ হতে চান। তিনি দুদিন আগে বললেন, প্ৰদেশ কংগ্ৰেস তার সমঝোতার প্ৰস্তাব বিরোধিতা করলে তিনি কংগ্ৰেসের সৰ্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্ৰেস নেত্ৰী সোনিয়া গান্ধীর দ্বারস্থ হবেন এবং সমঝোতার প্ৰস্তাব তুলে ধরবেন। সেই বদরুদ্দিন আজমল আবার বিজেপি সরকারের শরিক দল অগপর পক্ষে নরম স্থিতি গ্ৰহণ করে অগপ এবং বিপিএফকে সাম্প্ৰদায়িক বিজেপি জোট সরকার থেকে সরে এসে বিকল্প জোট গঠনের প্ৰস্তাব দিয়েছেন। এ ছাড়াও এই প্ৰস্তাবও দিয়েছেন অগপর নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে তিনি বিনা শৰ্তে সমৰ্থন করবেন এবং মুখ্যমন্ত্ৰী হওয়ার বিন্দু মাত্ৰ অভিপ্ৰায়ও তার নেই। বদরুদ্দিন আজমল বলেছেন, বিজেপি নেতৃত্বধীন সরকার পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের প্ৰাকমূহুূৰ্তে ছলে বলে কৌশলে ধৰ্মীয় বিভাজন এনে রাজনৈতিক মুনাফা লুটতে চাইছে। অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি সম্পৰ্কে বলেছেন, বিজেপি ধৰ্মীয় বিভাজন এনে রাজনৈতিক মুনাফা লুটার জন্য গভীর ষড়যন্ত্ৰে লিপ্ত হয়েছে। কংগ্ৰেস আজ বদরুদ্দিনের দুমুখো ভূমিকার সমালোচনা করেছে। কংগ্ৰেসের কেন্দ্ৰীয় পৰ্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াত আজ প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, এআইইউডিএফ-এর কোন নীতি নেই, বার বার স্থিতি বদল করে। তাই তাদের সঙ্গে কংগ্ৰেস কোনও পৰ্যায়ে নিৰ্বাচনী সমঝোতায় যেতে পারে না। আগামী লোকসভা নিৰ্বাচনে ১৪টি আসনে কংগ্ৰেস একক ভাবে লড়বে, কোনও দলের সঙ্গে সমঝোতায় যাবেনা। হরিশ রাওয়াত দাবি করেছেন তারা অন্তত ১০-১১ টি আসনে জয়লাভ করবে। পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনেও কংগ্ৰেস একক ভাবে লড়বে। প্ৰদেশ কংগ্ৰেস সভাপতি রিপুন বরাও একই অভিমত পোষণ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই