মহাষ্টমীতে শক্তিপীঠ কামাখ্যা মায়ের আশীর্বাদ নিলেন বিজেপির রাষ্ট্রীয় সভাপতি অমিত শাহ
দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ নীলাচল পাহাড়ে বিখ্যাত শক্তিপীঠ কামাখ্যা ধামে মহাষ্টমীর দিন মায়ের পুজো করে আশীর্বাদ নিলেন বিজেপি রাষ্ট্রীয় সভাপতি অমিত শাহ সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, বিজেপির রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত দাস এবং রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। কামাখ্যা মন্দিরের পূজার পর গুয়াহাটি থেকে মিজোরামের দিকে রওনা হন অমিত শাহ। নির্বাচনী প্রচারে মিজোরামে যান তিনি। অমিত শাহ কামাখ্যা মন্দিরে পৌঁছনোর আগে থকেই মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করে তোলা হয়েছিল। মঙ্গলবার মাঝারাতে বড়ঝার বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। একইদিনে স্বস্ত্ৰীক কামাখ্যা মায়ের পুজো দিলেন সুপ্ৰিম কোৰ্টের মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। নবরাত্রিতে মায়ের দর্শনে ভক্তের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আশ্বিন মাসের দুর্গা পুজো শুরুর ১৫ দিন আগে থেকেই কামাখ্যায় দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যায়। আর এই উৎসবকে ঘিরেই ভক্তের ঢল নামে নীলাচল পাহাড়ে।কৃষ্ণ নবমীর দিন বোধন করে পূজা শুরু হয়। পূজা চলে শুক্লা নবমী পর্যন্ত। পনেরো দিন ধরে পুজো চলে। এরপর দশমী পূজা সম্পন্ন করে বিসর্জন দেওয়া হয়। অসমিয়া ভাষায় একে পষেকপূজা বা পক্ষপূজা বলে। শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুক্লা দশমী পর্যন্ত কামাখ্যা ধামে নবরাত্রি উৎসব পালিত হয়। এই উৎসব উপলক্ষ্যে কামাখ্যা ধামে প্রচুর ভক্তের ভিড় হয়। দেশ বিদেশ থেকে ভক্তরা এসে কামাখ্যায় ভিড় করে। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে কামাখ্যাতে সন্ধি পুজো হয়। মহাষ্টমীতে মায়ের পুজোর সময় বলি দেওয়া হয়। দুর্গাপূজার আগে আরও কয়েকটি পুজো হয় কামাখ্যায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুমারী পুজো। মহামায়া দেবী কামাখ্যা সর্বদা কুমারী রূপে এখানে বিরাজ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্ৰান্ত থেকে ভক্তরা দুর্গাপূজার সময় এই শক্তিপীঠে আসেন। কামাখ্যায় ৯ বছর পর্যন্ত কুমারীদের পুজো হয় বিভিন্ন নামে। নবরাত্রির প্রথম দিন এক জন কুমারীকে দ্বিতীয় দিন দুজন এভাবে নবমীতে নয় জন কুমারীকে পুজো করা হয়। তন্ত্র শাস্ত্রে কুমারী পূজা একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। দুর্গার রূপ ধরেই কুমারীকে পূজা করা হয় নবরাত্রি উৎসব উপলক্ষে কামাখ্যা ধামে চণ্ডীপাঠ চলতে থাকে। দুৰ্গোৎসবকে ঘিরে সুন্দরভাবে সেজে উঠেছে মা কামাখ্যার মন্দির।
কোন মন্তব্য নেই