পরিশ্ৰমী শ্ৰমজীবি মানুষের শূণ্য স্থান পূরণ করতে পারবে কি খিলঞ্জীয়া অসমীয়ারা- প্ৰশ্ন এ পি ডব্লিউর
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি ৯ জুনঃ স্বেছাসেবী সংগঠন অসম পাব্লিক ওয়াৰ্কস্ (এ পি ডব্লিউ) ২০১৪ সালেবরাক উপত্যকা এবং পাৰ্বত্য জেলা দুটিকে বাদ দিয়ে রাজ্যে এক সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে মোট জনসংখ্যা ২,৬৩,৭৬,৫৬২ জন৷ এই জনসংখ্যার মধ্যে ৮০ শতাংশ শিক্ষিত বেকার৷ এই জনসংখ্যার মধ্যে ২৭,৯২,৯৭০ জন মানুষ মাছ, মাংস, শাক-সব্জী, ঠেলা-রিক্সা ওয়ালা, কৃষিজীবি, গাড়ীর চালক, হ্যাণ্ডিমেন যাদেরকে আমরা বাংলাদেশী বলে তুচছ-তাচ্ছিল্য করি, তারায় এই কাজে নিয়োজিত, অসমের গ্ৰামীন অৰ্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে তারায়৷ এই সমীক্ষায় ২,৮০,৭৮৫ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবি, ২,৬৩,৭৬৫ জন মাংস ব্যবসায়ী, বাংলাদেশী শ্ৰমজীবি মানুষ ৭,৬৩,৩৭৮ জন, তাদের শূণ্য স্থান পূরণ করার ক্ষমতা অসমিয়া মানুষের নেই৷ কারণ শিক্ষিত অসমিয়াদের মধ্যে কৰ্ম-সংস্কৃতি নেই, আন্দোলন আর আন্দোলন, কথায় কথায় পথ অবরোধ৷ সেই শূণ্য স্থান পূরণ না করে শুধু বাংলাদেশী বলে বিৰ্ষোদগার করে অসমের অস্তিত্ব বিপন্ন, বাংলাদেশীরা সব দখল করে নিল এই কথা বলার কোনও অৰ্থ হয় না৷ অসম পাব্লিক ওয়াৰ্কসে্র সভাপতি অভিজিত শৰ্মা আজ শনিবার দিসপুর প্ৰেস ক্লাবে ‘মুখোমুখি’ শীৰ্ষক অনুষ্ঠানে অসমের বৰ্তমান আৰ্থ-সামাজিক প্ৰেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে এ কথা বলেন৷ তিনি বলেন অসমের মানুষ বছরের পর বছর শুধু আন্দোলন করে যাচেছ, অসম ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে যারা আন্দোলন করছে তাদের যোগ্যতার প্ৰ তুলে বলেন, আন্দোলনকারীদের সন্তান সন্তুতিদের আন্দোলনে নামাচ্ছেন না কেন? তাদের সন্তান সন্তুতিদের কোথায় পডাচ্ছেন? নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কবে আইনে পরিণত হবে, আদৌ হবে কি না, তার কোনও ঠিক ঠিকানা নেই, অথচ রাজ্যের একাংশ বুদ্ধিজীবি আন্দোলনের নামে রাজ্যেবাসীকে বিপথে পরিচালনা করছে৷ এ পি ডব্লিউ সভাপতি বলেন, যদি সত্যিই বিলটি পাশ হয় রাষ্ট্ৰপতি স্বাক্ষর করেন পরের দিন ই তারা সুপ্ৰিমকোৰ্টের দ্বারস্থ হবে৷ তিনি অভিযোগ করেন যারা বাংলাদেশকে জমি দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলো তারাই আজ মন্ত্ৰী নেতা হয়ে বসেছেন৷ এপি ডব্লিউ সভাপতি বলেন, তারা আন্দোলনের নামে পথে নামেন না সুবিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়৷ রাজ্যের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশীর নাম অন্তভূক্ত হয়েছে অভিযোগ তুলে সুপ্ৰিমকোৰ্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ২০০৯ সালে সুপ্ৰিমকোৰ্টে তারা বলেছিল রাজ্যে ৪১ লক্ষ বাংলাদেশী আছে৷ বৰ্তমানে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর নবায়নের কাজ চলছে৷ সুপ্ৰিমকোৰ্টের নিৰ্দেশ ক্রমে এই কাজ চলছে৷ এই কাজে হস্তক্ষেপ করতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী, মুখ্য সচিবদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে৷ রাজ্যের বৰ্তমান সাম্প্ৰদায়িক পরিস্থিতি সম্পৰ্কে জনান, এন আর সির চুড়ান্ত খসড়া তালিকায় কত লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়বে সে সম্পৰ্কে তিনি কোনও তথ্য দিতে পারলেন না৷ এই আই ইউ ডি এফ-এর মতো দল রাজ্যে আসার পর সাম্প্ৰদায়িক সম্প্ৰীতি বিনষ্ট হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন৷ কিন্তু আগে এতো বেশি কথায় কথায় হিন্দু-মুসলিম শব্দটি আসতো না৷রাজ্যের ধৰ্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিশেষ করে প্ৰব্ৰজনকারীর সন্তান সন্তুতির সংখ্যা বেশি৷ তাদের জন্ম নিয়ন্ত্ৰণ করার জন্য এ পি ডব্লিউ সুপ্ৰিমকোৰ্টে এক আইন প্ৰণয়ন করে দুটির বেশি সন্তান হলে ভোটাধিকার হরণ করে রাজ্যের জন বিন্যাসের ভার সাম্য রক্ষার চেষ্টা করা হবে৷ এ ব্যাপারে রাজ্যের বিশিষ্ট ডাঃ ইলিয়াস আলীর সাহয্য নেওয়া হবে বলে অভিজিত শৰ্মা জনান৷
কোন মন্তব্য নেই