জীবিত গণ্ডারেরথেকে মৃত গণ্ডারের খড়ৰ্গ রক্ষায় ব্যয় বেশি হচ্ছে
গুয়াহাটি ১০ জুনঃ অসমে এক শিঙ্গ বিশিষ্ট গণ্ডার রক্ষায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে৷ কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানে ২০০০-এর বেশি গণ্ডার আছে৷ রাজ্যের গৌরব, জাতীয় প্ৰতীক এক শিঙ্গ বিশিষ্ট গণ্ডার রক্ষায় যত না ব্যয় হচ্ছে তা থেকে বেশি ব্যয় হচ্ছে মৃত গণ্ডারের খড়ৰ্গ রক্ষায়৷ রাজ্যের ১০ টি ট্ৰেজারিতে ২০৩৮ টি খড়ৰ্গ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে৷ এই খড়ৰ্গ রক্ষায় রাসায়নিক ঔষধ ব্যবহার করা হচ্ছে৷ বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় হচ্ছে৷ প্ৰায়ই চোরা শিকারীদের হাতে গণ্ডার হত্যা হচেছ৷ খড়েৰ্গর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে৷ রাজ্যের মুখ্য বন সংরক্ষক (বন্য প্ৰাণী) এন কে বাসু আজ এ সম্পৰ্কে জনান, নিৰ্দিষ্ট বাক্সগুলিতে খড়ৰ্গগুলো সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে, তাঁর দাবি রাসায়নিক ঔষধ্বে ব্যবহার হয় না৷ তিনি জানান, বন বিভাগে কোনও আইনে খড়ৰ্গগুলি বিক্রী করা যাবে না, হাতীর দাঁতও বিক্রী করা যায় না৷ তাই বন বিভাগের আইনের বিদ্ধে কিছু করা যাবে না, বছরের পর বছর রাজ্যের ট্ৰেজারিগুলিতে খড়ৰ্গগুলি পরে আছে, নিলাম করে দেওয়া হলে সরকারের কোষাগারে কোটি কোটি টাকা আসত, কিন্তু কিছু করার নেই৷ তিনি দাবি করেন, বৰ্তমান বনমন্ত্ৰী পরিমল শুক্ল্যবৈদ্যর সময়ে রাজ্যে গণ্ডার হত্যা হ্ৰাস পেয়েছে, এ পৰ্যন্ত মাত্ৰ ২টি গণ্ডার নিহত হয়েছে৷ গতকালের গণ্ডার হত্যার খবর ঠিক নয়, পুরনো ঘটনায় গতকাল খড়ৰ্গ উদ্ধার করা হয়েছে৷ সি সি এফ এন কে বাসু জানান, কাজিরঙা রাষ্ট্ৰীয় উদ্যানের বনরক্ষীদের হাতে অত্যাধুনিক মারনাস্ত্ৰ তুলে দেওয়া হয়েছে৷ বিগত বনমন্ত্ৰী প্ৰমিলা রাণী ব্ৰহ্ম-এর আমলে ১০ কোটি টাকার মারনাস্ত্ৰ ক্রয় করা হয়েছিল৷
কোন মন্তব্য নেই